রক্ত পাতলা হওয়াঃ রসুন রক্তের ঘনত্ব কমিয়ে রক্ত চলাচলের গতি বৃদ্ধি করে। কিন্তু যখন আপনি অতিরিক্ত রসুন খাবেন তখন রক্ত বেশি পাতলা হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া যারা রক্ত পাতলা করার অ্যাসপিরিন এবং ওয়ারফারিন জাতীয় ঔষধ সেবন করেন তাদের কোন ভাবেই বেশি পরিমাণে রসুন খাওয়া উচিত নয়।
ব্লগিং কি?ফ্রিল্যান্সিং কি?অনলাইন থেকে ইনকামবিটকয়েন কি?ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?
কারো লিভারজনিত সমস্যা থাকলে কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রাচীনকালে বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে রসুনের ব্যবহার ছিলো। রসুন মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া খুবই উপকারী। আসুন এবার জেনে নিই রসুনের আর কি কি উপকারিতা আছে।
দুর্গন্ধঃ রসুন খাওয়ার অন্যতম বিপত্তি হচ্ছে মুখে দুর্গন্ধ। এর প্রধান কারন রসুনে থাকা সালফার।
ডাইরিয়াঃ রসুন কাঁচা অবস্থায় খালি পেটে ২-৩ কোয়া খেলেই উপকার বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের জন্য রসুনে থাকা সালফার ক্ষতির কারন হতে পারে। এবং পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললে বা গ্যাসের সমস্যা বেশি থাকলে ডাইরিয়া হতে পারে।
উচ্চ রক্ত চাপ বা হাই প্রেসার কমানোর জন্য অনেকে, বিভিন্ন রকম পদ্ধতি বা ওষুধ সেবন করে থাকে। প্রাকৃতিক ভাবে উচ্চ রক্ত চাপ কমানোর জন্য অনেক পথ্যের অন্যতম হচ্ছে রসুন। শরীরের এলডিএল বেড়ে যাওয়ার কারনে রক্তচাপ বেড়ে যায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে উচ্চ রক্ত চাপ জনিত সমস্যা থাকবে না।
রসুন অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতার সাথে সংযুক্ত। রসুন শুধু খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধিই করে না, এটি আমাদের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিরও যোগান দেয়।
চোখের যত্নে রসুনঃ রসুন চোখের ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।আবার দাঁতের ব্যথা সারাতে রসুন সহায়তা করে থাকে।
ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধে কাঁচা রসুন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যাদের এলার্জি জাতিয় সমস্যা আছে তাদের রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করেঃ রসুন শিরা-উপশিরায় প্লাক জমাতে বাধা প্রদান করে। তাছাড়া রসুন রসুনের উপকারিতা ও উপকারিতা শিরা-উপশিরার মারাত্নক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। শিরা-উপশিরায় রক্ত জমাট বাধাতেও সাহায্য করে।
৩. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ সুগারের ফলে রক্তে গুকোজ এর পরিমাণ বেড়ে যায়। ইনসুলিনের অসম ক্ষরণের ফলে ডায়াবেটিস রোগ হয়ে থাকে। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি পদার্থ যা ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। এর জন্য প্রতিদিন সকালে ২-৩ কোয়া রসুন খেতে হবে চিবিয়ে অথবা কুচি করে কেটে সরাসরি গিলেও খেতে পারেন।
চুল পড়ার সমস্যা রোধ করে চুলের গোড়া মজবুত করতে রসুনের তেল অনন্য ভূমিকা পালন করে। রসুনে রয়েছে মিনারেলস, ফসফরাস, সালফার যা আমাদের চুলের ফলিকলকে মজবুত করে। এছাড়াও যদি আপনাদের স্কাল্পের কোন নির্দিষ্ট স্থানের চুল পড়া অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় তাহলে রসুনের কাচা অংশ নিয়ে সেই জায়গায় ঘসতে থাকুন। রসুনে থাকা জিংক এবং সালফার আক্রান্ত স্থানে চুল গজাতে সাহায্য করবে।